স্বাধীনতার স্বাদ আজও পাইনি আমি... ... ...
খুজেছি তাকে ফার্মগেট এবং গুলিস্তানের জামে
পাইনি আমি, পাইনি যেমন
সুকান্তের রানার,তার স্বাধীনতা ঢাকা পড়েছিল কালো রাত্রির খামে
শামসুর রাহমান দেখেছিল স্বাধীনতা;
গ্রাম্য মেয়ের অবাধ সাতারে
আমি দেখেছি সাতার জানা কত নর-নারী;
স্বাধীনতা খুজছে কোকো-৪ এর রুদ্ধদারে।
স্বাধীনতা দেখা হয় নি আমার,
তার আগেই ডুবে মরেছে তারা ভোলার অদূরে।
স্বাধীনতা কোথায়- এই বাংলাদেশে?
যখন পোশাক-কর্মী দিনের শেষে ঘরে ফেরে সদা ত্রাসে।
চৈতী-চামেলী, সুবর্ণা-সুচন্দা, পলি-মিলি-শাহরিন
স্কুলে যায়, কলেজে যায়, ভয়ে থাকে নিশিদিন।
ছেলেধরার ভয়,
গাড়ীচাপার ভয়,
তার চেয়ে বড় ভয় ইভ-টিজে!
চির বুভুক্ষু,
শকুন চক্ষু
কুত্তারা সব টান দেয় যে কখন কামিজে!
তাইতো ওরা ওড়না দিয়ে স্বাধীনতাকে বাঁধে শিলিং ফ্যানে
নয় সান্ত, চির অনন্ত স্বাধীনতা পেয়ে যায় একটা হ্যাচকা টানে।
স্বাধীনতা আনতে চেয়েছিল বিদ্রোহী নজরুল
নিঃক্ষত্রিয় বিশ্ব গড়ে শান্তি আনবে আমূল।
পারে নি সে...
ব্যর্থ হয়ে তাই সে বিশ্ব-মায়ের অঞ্চল ছেঁড়ে দাঁতে
আর আমি দেখেছি স্বাধীনতার অপমৃত্যু ওপেন হেইমারের হাতে।
দাসত্ব শৃঙ্খল ভেঙ্গে স্বাধীনতাহীনতা থেকে
মুক্তি পেতে চেয়েছিল রঙ্গলাল
আর আজ আমরা ঋণের বোঝা
মাথায় নিয়ে হেলায় হারায় স্বাধীনতার হাল
মুক্তিযোদ্ধারা সাগর-সমান-শোণিতের বিনিময়ে
রচেছিল যে মহাকাব্যিক স্বাধীনতা
বিরুদ্ধবাদীরা খায় নি কি তা চিবিয়ে?
‘ডিম পাড়ে হাঁসে
খায় বাঘ ডাঁসে’।
রিলিফের মাল নিয়ে এখনো হয় কাড়াকাড়ি
দুর্গত নয় বন্টনকারীদের মধ্যেই ভাগাভাগীর বাড়বাড়ি।
স্বাধীনতার স্বাদ আজও পাই নি আমি... ... ...
স্বাধীনতা হয়তো থাকে- বেহায়া ভিক্ষুকের কাছে
যে খুচিয়ে খুচিয়ে আরও দগদগে করে তার ঘা
নিষ্পাপ ছেলে অন্যের কথায় ভিক্ষুক সেজে বলেঃ
‘আমার নেই যে মা।‘
হয়তো এসব সরকার প্রদত্ত স্বাধীনতা
ভাবি অকারণ, বাড়ায় কেবল নিজের মাথাব্যাথা।
স্বাধীনতার স্বাদ আজও পাই নি আমি... ... ...
স্বাধীনতার ঝলক দেখেছিনু টিপু সুলতানের তরবারীতে
সেই তরবারী আজ হায় পড়েছে সরকারী দলের ছাত্রনেতার হাতে।
ছোটলোক হায় বড়লোক হলে, বাপ কে বলে শালা
তাদের হয়েছে একই দশা;সহসাই কাটে সহপাঠীর গলা।
স্বাধিনতার স্বাদ আজও পাই নি আমি... ... ...
স্বাধীনতা ওড়ে চাঁনখারপুলে হেরোইনচির হাতে
স্বাধীনতা ঘুমায় পলাশীর পথে, সাকুরা কিংবা পিকক-এর টেবিলে
নেশায় বুদ হওয়া বিদ্যা বোঝায় বুদ্ধিজীবীর সাথে।
ও স্বাধীনতা! তুমি দেখতে কেমন?
গন্ধ-বর্ণ কেমন তোমার? স্বাদটায় বা তোমার কি?
তিন যুগ হায় পেরিয়ে গেলো,
তবুও এখনও হায় তোমাকেই খুজছি!
স্বাধীনতার স্বাদ আজও পাই নি আমি... ... ...
তার খোজ হয়তো জানে কেবল অন্তর্যামী।
খুজেছি তাকে ফার্মগেট এবং গুলিস্তানের জামে
পাইনি আমি, পাইনি যেমন
সুকান্তের রানার,তার স্বাধীনতা ঢাকা পড়েছিল কালো রাত্রির খামে
শামসুর রাহমান দেখেছিল স্বাধীনতা;
গ্রাম্য মেয়ের অবাধ সাতারে
আমি দেখেছি সাতার জানা কত নর-নারী;
স্বাধীনতা খুজছে কোকো-৪ এর রুদ্ধদারে।
স্বাধীনতা দেখা হয় নি আমার,
তার আগেই ডুবে মরেছে তারা ভোলার অদূরে।
স্বাধীনতা কোথায়- এই বাংলাদেশে?
যখন পোশাক-কর্মী দিনের শেষে ঘরে ফেরে সদা ত্রাসে।
চৈতী-চামেলী, সুবর্ণা-সুচন্দা, পলি-মিলি-শাহরিন
স্কুলে যায়, কলেজে যায়, ভয়ে থাকে নিশিদিন।
ছেলেধরার ভয়,
গাড়ীচাপার ভয়,
তার চেয়ে বড় ভয় ইভ-টিজে!
চির বুভুক্ষু,
শকুন চক্ষু
কুত্তারা সব টান দেয় যে কখন কামিজে!
তাইতো ওরা ওড়না দিয়ে স্বাধীনতাকে বাঁধে শিলিং ফ্যানে
নয় সান্ত, চির অনন্ত স্বাধীনতা পেয়ে যায় একটা হ্যাচকা টানে।
স্বাধীনতা আনতে চেয়েছিল বিদ্রোহী নজরুল
নিঃক্ষত্রিয় বিশ্ব গড়ে শান্তি আনবে আমূল।
পারে নি সে...
ব্যর্থ হয়ে তাই সে বিশ্ব-মায়ের অঞ্চল ছেঁড়ে দাঁতে
আর আমি দেখেছি স্বাধীনতার অপমৃত্যু ওপেন হেইমারের হাতে।
দাসত্ব শৃঙ্খল ভেঙ্গে স্বাধীনতাহীনতা থেকে
মুক্তি পেতে চেয়েছিল রঙ্গলাল
আর আজ আমরা ঋণের বোঝা
মাথায় নিয়ে হেলায় হারায় স্বাধীনতার হাল
মুক্তিযোদ্ধারা সাগর-সমান-শোণিতের বিনিময়ে
রচেছিল যে মহাকাব্যিক স্বাধীনতা
বিরুদ্ধবাদীরা খায় নি কি তা চিবিয়ে?
‘ডিম পাড়ে হাঁসে
খায় বাঘ ডাঁসে’।
রিলিফের মাল নিয়ে এখনো হয় কাড়াকাড়ি
দুর্গত নয় বন্টনকারীদের মধ্যেই ভাগাভাগীর বাড়বাড়ি।
স্বাধীনতার স্বাদ আজও পাই নি আমি... ... ...
স্বাধীনতা হয়তো থাকে- বেহায়া ভিক্ষুকের কাছে
যে খুচিয়ে খুচিয়ে আরও দগদগে করে তার ঘা
নিষ্পাপ ছেলে অন্যের কথায় ভিক্ষুক সেজে বলেঃ
‘আমার নেই যে মা।‘
হয়তো এসব সরকার প্রদত্ত স্বাধীনতা
ভাবি অকারণ, বাড়ায় কেবল নিজের মাথাব্যাথা।
স্বাধীনতার স্বাদ আজও পাই নি আমি... ... ...
স্বাধীনতার ঝলক দেখেছিনু টিপু সুলতানের তরবারীতে
সেই তরবারী আজ হায় পড়েছে সরকারী দলের ছাত্রনেতার হাতে।
ছোটলোক হায় বড়লোক হলে, বাপ কে বলে শালা
তাদের হয়েছে একই দশা;সহসাই কাটে সহপাঠীর গলা।
স্বাধিনতার স্বাদ আজও পাই নি আমি... ... ...
স্বাধীনতা ওড়ে চাঁনখারপুলে হেরোইনচির হাতে
স্বাধীনতা ঘুমায় পলাশীর পথে, সাকুরা কিংবা পিকক-এর টেবিলে
নেশায় বুদ হওয়া বিদ্যা বোঝায় বুদ্ধিজীবীর সাথে।
ও স্বাধীনতা! তুমি দেখতে কেমন?
গন্ধ-বর্ণ কেমন তোমার? স্বাদটায় বা তোমার কি?
তিন যুগ হায় পেরিয়ে গেলো,
তবুও এখনও হায় তোমাকেই খুজছি!
স্বাধীনতার স্বাদ আজও পাই নি আমি... ... ...
তার খোজ হয়তো জানে কেবল অন্তর্যামী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন