শুক্রবার, ১৯ আগস্ট, ২০১১

হে দেশবাসী, আমরা ভালো নেই

      গতকাল পত্রিকায় ‘প্রথম আলো’র প্রথম পাতায় আমার ছবি ছাপা হয়েছে।পরিচিত বন্ধু মহলে রাতারাতি হিরো বনে গেছি।আমার ঘুম ভেঙ্গেছে এক বন্ধুর ফোন পেয়ে; “আজ প্রথম আলো দেখেছিস? প্রথম আলোর প্রথম পাতায় তোর বড় একটা ছবি এসেছে।” আমি কয়েকদিন হল পত্রিকা পড়া বাদ দিয়েছি। পাশের রুমে গিয়ে দেখি ঘটনা সত্য।ভয়ে জান শেষ; আব্বার ভয়, মায়ের ভয়, ভায়ের ভয়।তারপর যারা মারামারিতে জিতেছে তাদের ভয়।কারণ তারা হয় তো ইতোমধ্যে ভুলেই গেছে যে মাত্র ৬/৭ মাস আগে তারাও হাসপাতালে ছিলো আর আমি তখনও যথারীতি তাদের কে দেখতে গিয়েছিলাম।যে ফোন করে ছিলো তাকে অনেক খুশি মনে হল।তারপর সারা সকাল অনর্গল বেশ কয়েকটা ফোন পেলাম।কেউ কেউ আবার মিস্টিও খেতে চাই্লো।হল থেকে বের হচ্ছি, অনেকেই কংরাচুলেশন জানাচ্ছে।কেউ বললো ব্যপক হয়েছে আবার কেউ বললো দুর্দান্ত।ফর্ম ফিলাপ করতে ডিপার্টমেন্টে গেলাম, অনেক ফ্রেন্ডই এগিয়ে এসে হাসি মুখে হ্যান্ডশেইক করছে আর কাহিনী কি তা জানতে চাচ্ছে।যে সুশীল দাদা(ইংরেজি বিভাগের অফিস কর্মকর্তা) কে  দেখলে সবায় জড়শড় হয়ে যায়, সে হাসি মুখে আজ অনেক কিছু জানতে চাইলো, খোশ দিলে আমার কাজ করে দিল ।অনেক ক্লাশমেইটই সরু চোখে আমাকে দেখছে।যে মেয়ে কোনদিন কথা বলে নি, সেও জানালো পত্রিকায় সে আমাকে দেখেছে।রীতিমত উপভোগ করার বিষয়। কিন্তু তা পারছি না।পিছনে আমার ছুরি ধরা।           আমি রাজ্যের সংশয় নিয়ে লিখতে বসেছি এই লেখাটি।লেখাটি ছাপা হবে কি না জানি না আর যদি হয়ই বা তাহলে তার প্রতিক্রিয়ায় বা কেমন হবে?তার উপর আছে জীবনের ভয়, আত্মারাম কে চিরতরে খাঁচাছাড়া করতে খুবই ভয় হয়।খুব ভালো করেই জানি,জল বাস করে কুমিরের সাথে লড়া দুঃসাধ্য।ফি সাবিলিল্লাহ।যা আছে কপালে।
ছাত্র-রাজনীতি নিয়ে বিস্তর লেখালেখি হয় পত্র-পত্রিকায়, ম্যাগাজিনে; সেগুলো বিজ্ঞ ব্যাক্তিদের বিশ্লেষণ মূলক লেখাতে সমৃদ্ধ।মাঝে মাঝে অবস্য নামে-বেনামে-ছদ্মনামে অভিযোগ বাক্স বা চিঠি পত্র বিভাগে আমাদের সাধারণ ছাত্রদের পক্ষ থেকে লেখা চিরকুট প্রকৃতির লেখাও ছাপা হয়।গত তিন-চার বছর হলে বাস করে ছাত্র-রাজনীতি সম্পর্কে আমার যে ধারণা হয়েছে তা সততার সাথে দেশ বাসির কাছে তুলে ধরতে চাই।

           প্রথমেই বলে রাখি আমি ছাত্র-রাজনীতির পক্ষে এবং ছাত্র-রাজনীতি করি, প্রয়োজন হলে ছাত্র-রাজনীতির জন্য প্রাণ দিতে প্রস্তুত আছি।কিন্তু আমার দৃশটিভঙ্গি ভিন্ন।আমার মতে ছাত্রদের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন যেমন গান বাজনার,খেলাধুলার,সাহিত্যের,নাট্যদলের,স্বেচ্ছাসেবীদের প্রভৃতি সঙ্গঠন থাকা উচিত।আবার বিভিন্ন ক্লাব যেমন ডিবেটিং ক্লাব,ক্রিকেট ক্লাব,দাবা ক্লাব,বিজ্ঞান ক্লাব,অর্থনীতি চর্চা ক্লাব প্রভৃতি ক্লাব তারা খুলতে পারে।কিন্তু কোন রাজনৈতিক দলের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে তারা ব্যবহৃত হতে পারে না।ছাত্রশিবির, ছাত্রদল, ছাত্রলীগসহ তথা কথিত পরপুষ্টিপ্রাপ্ত কিছু বামধারার ছাত্র সংগঠন রয়েছে যাদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে।পলিটিক্যাল ভাষায় বলতে গেলে,”ফাউলদের কোন কাজ-কাম হয় না”।তারা যা করে সেগুলো কে কোন ভাবেই ছাত্র-রাজনীতি বলা যায় না।ছাত্রশিবিরের কেউ কেউ করে ধর্ম প্রচার আর বাকিরা করে ধর্ম ব্যবসা।ছাত্রদল-ছাত্রলীগ করে পা চাটা লেজুড় বৃত্তির রাজনীতি, করে ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে টাকা উপার্জনের রাজনীতি,চালায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম।আর তথা কথিত বামপন্থী দল গুলো পরের টাকা খেয়ে কারণে-অকারণে জনা পনের-কুড়ি ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে করে ক্যাম্পাস পদিক্ষণ।আর বিকেল হলে অফিস গুলোতে মেয়েদের নিয়ে পাঠ চক্রের নামে করে মধুর আলাপণ।এদের কারো আজ তেমন ছাত্র সংশ্লিষটতা নেই।সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে তাদের নিজেদের এবং তাদের সংগঠনের সম্পর্ক যোজন যোজন দূরের।তারা সব এখন আউট অফ ট্র্যাক।
গত বেশ কয়েকটি মারামারির পরপরই আমি হাসপাতালে গেছি।সেখানে যেয়ে মনে হয়েছে সব দলের আহতদের হাহাকারের ভাষা প্রায় একই রকম।আর তার সাথে প্রতি বারই মার খায় এমন কিছু ছেলে যারা এর আগে জীবনে বাবা-মায়ের হাতেও চড় খায় নি।এই সব ফার্স্ট ইয়ার সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্ররা শুধু সীটের জন্য তাদের ধারে কাছে থাকে।মারামারির সময় জোর-জবরদোস্তি করে তাদেরকে ধরে নিয়ে যায়।আসল পলিটিক্যাল স্টুডেন্টসরা চালাক এবং তারা বিভিন্ন কৌশল জানে ফলে বিপদ দেখলে নিরাপদে পালিয়ে যায় আর ধরা খায় ভালো ছেলে গুলো, কম অভিজ্ঞ গুলো।হাসপাতালে তাদের অসহায় চাহনি দেখলে সীমারের চোখেও জল চোলে আসবে।
         এবারের মারামারি হয়েছে ভোরেরে স্পষ্ট আলোকে।দেখলাম একজন ছাত্র কিভাবে অপর একজন ছাত্রকে কোপ বসাতে পারে।আরও শিখলাম পড়ে গিয়ে হাত জোড় করলে কোপ মারতে হয় হাতে।আর একজন কে দেখলাম প্রকাশ্যে পিস্তুল হাতে ঘুরতে আর গুলি চালাতে।তার আগেরবার মারামারিতে দেখা গেলো একজন মাস্টার্স শেষ হতে যাওয়া ছাত্র ফার্স্ট ইয়ারের নিরীহ এক ছাত্রকে রাম দা দিয়ে কোপাচ্ছে আর পাঁচ তলা থেকে লাফ দিতে বলছে।শুধু হলে রুমের দখল নেওয়ার জন্য এত কিছু।বলি রুম গুলো কি আপনাদের বাপ-দাদার দেওয়া পৈত্রিক সম্পত্তি? যে বেদখল হয়ে গেছে বলে তার দখলে নেমেছেন আপনারা।
            ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথাই ধরি।এখানের বর্তমান ছাত্র নেতাদের সাথে লালবাগ-মোহাম্মদপুর-পুরান ঢাকার ভাড়াটে গুণ্ডাদের সম্পর্ক চমৎকার।এই যেমন বোমা হারু, চাপাতি বাবু, ককটেল আব্বাস, প্রভৃতি ভদ্র মহোদয়গণের সাথে আমাদের ছাত্র নেতাদের চরম খাতির।তারা বুজুম ফ্রেন্ড(বুজাম ফ্রেইন্ড), প্রাণের দোস্ত।রেস্তরাতে তাদের সাথে একসাথে খাওয়া দাওয়া।কারণ এদের সাথে সম্পর্ক না থাকলে তো ক্ষমতার দৌড়ে তারা পিছিয়ে পড়বে।সাধারণ সিক্ষার্থীদের সাথে কোন যোগাযোগ নেই বললেই চলে।সাধারণ ছাত্ররা আজকের দিনে রাজনীতি করে না।আর যারা করে তারা শুধু হলে সীট পাওয়ার জন্য বা সীট টিকিয়ে রাখার জন্য।বাকিরা যারা করে তারা ভিন্ন উদ্দেশ্যে করে।যেমনঃ
_টাকা কামানোর জন্য।হলে রাজনীতি করলে লাখপতি-কোটিপতি হওয়া সময়ের ব্যপার মাত্র।টেন্ডারবাজি ও আশেপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি করে প্রচুর অর্থ পাওয়া যায়।
_কিছু কিছু ভালো ছাত্র রাজনীতি করে কারণ তাদের ধারণা(হয়তো বাস্তবও হতে পারে) চাকরি-বাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে গেলে ছাত্র নেতাদের কাছ থেকে প্রত্যয়ন পত্র পেতে হয়।
_ হলে ফাও খাওয়া যায়।এবং এই ফাও খোরদের কারণে সাধারন ছাত্ররা হলের সেই বিখ্যাত অখাদ্যগুলো খেয়ে বেঁচে থাকে।হলের ক্যাটাররা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমাদের কে বাজে খাবার খাওয়ায়।হলের ছেলেদের স্বাস্থের অবনতির অন্যতম কারণ এই নিম্নমানের খাদ্য।
_হলে থেকে ইয়াবা,গাঁজা,হেরোইনসহ নেশা জাতীয় দ্রব্যের ব্যবসা ঝুকিমুক্ত ভাবে করার অশেষ সুযোগ পাওয়া যায়।প্রায় প্রতি হলেই চলছে এর রমরমা ব্যবসা।এমন কি অস্ত্রের ব্যবসাও চলে এখানে।
_হলের সীট অছাত্র চাকরিজীবীদের নিকট ভাড়া দিতে পারেন ছাত্র নেতারা। এছাড়া আরো কত নোংরা কাজের সাথে তারা জড়িত তা আমি জানিও না।
ছাত্র-রাজনীতির পক্ষে চমৎকার সব রুপকথার গল্প শোনা যায়।এগুলোর উৎপত্তি আমার অজানা।দলীয় লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি কবে কখন দেষের জন্য ভালো কিছু করল তা আমার জানা নেই।’৫২,’৭১ এ আমার জন্ম হয় নি তায় নিজের চোখে দেখিনি।লোক মুখে শুনেছি আর বইয়ে পড়েছি।যারা দেখেছেন তারাই ভালো জানেন যে সেখানে সাধারণ ছাত্রদের সতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ কতটা ছিল।যখনই প্রয়োজন হয়েছে, সাধারণ ছাত্র দলে দলে নেমে পড়েছে আন্দোলণে।বছর খানেক আগে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট সান্ধ্যকালীন কোর্স চালু করতে উঠেপড়ে লেগেছিল।সাধারণ ছাত্ররাই আন্দোলণের মাধ্যমে তা রোধ করেছে।আর শিক্ষকগণ আন্দোলণ ঠেকাতে ব্যবহার করতে চেয়েছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছাত্রদের।দুই/তিন বছর আগে আর্মির বিরুদ্ধে হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী স্বেচ্ছায় নেমে পড়েছিল।তা ঠেকাতে রীতিমত জরুরী অবস্থা জারী করতে হয়েছিল। বছর আগে শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণ বা উন্নয়নের জন্য ছাত্র-রাজনীতির প্রয়োজন নেই।
     
         শিক্ষকগণের অবস্থাও তেমন সুবিধের নয়।তারা নিজেরা এখন আখের গোছানোতেই বেশি মনোযোগী।এই মহান পেশার লোকগুলোর অনেকেই আজ গুলিয়ে ফেলেছে তাদের লক্ষ্-উদ্দেশ্যকে বর্তমানের সুবিধাবাদী সমাজের সাথে।এখন ভিসি হন সেই কার জিহবাতে কত ধুলা আছে সেই বিচারে।নেতাদের পা চাটতে চাটতে তাদের জিহবাতে এখন কয়েক স্তর বিশিষ্ট আস্তরণ।শিক্ষকগণ নেতাদের তৈল মর্দনেই সময় শেষ, নিজেরা পড়বেন কখন?আমাদের পড়ানোর সময়ও খুব একটা পান না।আর এক দল আছে যারা ভাতার ছেড়ে নাং নাং করেই বেশি ব্যস্ত।নিজের ভার্সিটির ক্লাশ নেওয়ার সময় পান না, প্রাইভেট ভার্সিটি নিয়েই ব্যস্ত থাকেন।এখন নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষকের সংখ্যা হাতে গোণা কয়েকটি মাত্র।যারা আছেন তাদের অনেকেরই অবস্থা ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চার মত।না খেয়ে, না দেয়ে অনাদরে অবহেলায় কোন রকম বেঁচে আছে;অসাড় দেহ আর জানটা কেবল ধুক ধুক করছে।এ কথা জেনে আপনারা নিশ্চয় অবাক হবেন না যে, ভার্সিটির শিক্ষক হওয়ার জন্য ছাত্র নেতাদের কাছে ধরনা দেন আর পদন্নোতির জন্য তো বটেই।
ছাত্র নেতাদের কথা আর কি বলবো, তাদের কারো কারো ছেলে-মেয়ে পড়ে স্কুল কলেজে।কেউ কেউ করে বড় ব্যবসা।চাকরি করেন অনেকেই।কেউ কেউ সংসদ সদস্য নির্বাচনে অংশগ্রহণও করেন।আমাদের জন্মের সময় তারা ছাত্র ছিলেন আবার আমরা ভার্সিটি ছেড়ে যাব তখনও তারা ছাত্র থাকবেন ইনশাল্লাহ।আয়ুঃমান ভবঃ
     আমাদের চাওয়াঃ
_রাজনৈতিক দলগুলোকে ছাত্র শাখা ছেঁটে ফেলতে হবে।এই সোনার ছেলেরাই প্রতি নির্বাচনে পরাজয়ে বড় ভূমিকা রাখে।তাদের সুকীর্তি গুলো হররোজ রঙ্গীন ছবিসহ ছাপা হতে থাকে পত্রিকায়।তা দেখে পাঠক হৃদয়ে জন্ম নেই এক মধুর ধারণা, “আর না।’’ তাদের জ্বালায় দেশ সদা অস্থির।
_ শিক্ষকদের পদলেহন ছেড়ে দিয়ে প্রয়োজনে ললিপপের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।পড়াশুনার পাশাপাশি ললিপপ খেতে হবে।আগের দিনে রাষ্ট্র প্রধানরা,রাজনীতিকরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পদধুলি নিতে আসতেন এখন শিক্ষকরা(সবায় নয় অনেকেই) যান।আগের কালচার ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হবে।
_ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নোংরা রাজনীতি, শিক্ষার মানের ও পরিবেশের অবনতির পিছনে প্রত্যক্ষ্য বা পরোক্ষ ভাবে মৌলিক কারন হচ্ছে আবাসন সঙ্কট।হলের সংখ্যা বাড়াতে হবে।হলগুলোর নিয়ন্ত্রণ শিক্ষকদের হাতে নিতে হবে।
আমি খুব ভালো করেই জানি যা আমি এখানে বলছি তা বলাটা যতটা সহজ করাটা তত সহজ নয়।কারণ যা বলছি তা বাস্তবায়িত হলে দেশে রেডিক্যাল চেইঞ্জ চলে আসবে।চেহারা একদম পালটিয়ে যাবে।খুব অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের শিক্ষা,রাজনীতি,অর্থনীতি,সংস্কৃতি প্রভৃতিতে ব্যপক ইতি বাচক পরিবর্তন সাধিত হবে।দেশের মঙ্গল চাইলে অবস্যই এমন কিছু করতেই হবে।না হলে এ জাতি তাদের শিক্ষা সংস্কৃতি হারিয়ে সোমালীয়া হয়ে যাবে।
সরকার সমীপে আবেদনঃ
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী,মন্ত্রীগণ,সংসদ সদস্যগণ আপনাদের কাছে আমার আকুল আবেদন এখানে আপনাদেরই সন্তানেরা পড়ে।এদেশে যা কিছু ভালো অর্জতি হয়েছে তার ৯০ ভাগেরও বেশি অবদান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের।এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলেই বাংলাদেশ নামের একটি দেশের জন্ম হয়েছিল।সেই বিশ্ববিদ্যালয়টি এখন অসুস্থ।এর দেখভালের দায়িত্ব আমার আপনার বাংলাদেশের সকল নাগরিকের।একে ভালো না রাখলে যে আপনারাও ভালো থাকতে পারবেন না।আপনারা আইন করে এর প্রতিকার করুণ।কোটি কোটি টাকার কত কী যে করেন আমরা তার হিসেব নিতে যায় না,চায়ও না।আমরা ছাত্র আমাদের চিন্তা শিক্ষা কেন্দ্রিক।এত টাকার মধ্যে থেকে একটা সীমিত অংশ দিয়েই আমাদের আরও কয়েক টা হল বানিয়ে দেন।আমাদের তিন বেলা মোটামুটি মানের খাবার আর পড়াশুনা করার মত পর্যাপ্ত জায়গার ব্যবস্থা করে দিলেই আমরা আমরা সন্তুষ্ট।এর বেশি কিছু আমাদের চায় না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন