শুক্রবার, ১৯ আগস্ট, ২০১১

ভালোবাসা দিবস এবং অন্যান্য

ভালোবাসা দিবস:
Valentine's Day. বিশ্ব ভালোবাসা দিবস হিসাবে দিনটি পালিত হয়। পৃথিবীর তাবৎ প্রেমিক-প্রিমিকাগণ ব্যপক উৎসাহের সাথে দিনটি পালন করে থাকে।বন্ধু-বান্ধুবীরাও তাদের নিজেদের মধ্যে ফুল,কার্ড ও এসএমএস বিনিময়ের মাধ্যমে দিনটি পালন করে থাকে।এমন জন গুরুত্বপূর্ণ উৎসবের প্রতি সরকারের অবহেলায় প্রেমিক-প্রেমিকাদের সাথে আমিও সমব্যাথী।
সরকার দিনটির গুরুত্ব বুঝতে না পেরে বেরসিকের মত ১৪ই ফেব্রুয়ারীতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার দিন ধার্য করেছে।কয়েক লাখ পরীক্ষার্থী রয়েছে এবের। আর তাদের বাইরে রয়েছে তাদের পরীক্ষার্থী প্রেমিকের অপরীক্ষার্থী প্রেমিকা, পরীক্ষার্থী প্রেমিকার অপরীক্ষার্থী প্রেমিক অথবা তাদের বিশেষ সুভাকাংক্ষী-সুধীজন।সব মিলিয়ে ভুক্তভুগীর সংখ্যা কোন অংশেই নগন্য নয়। পরীক্ষাটা আবার যেমন-তেমন নয় একেবারে ইংরেজি।ভালোবাসা দিবস পালন করা তো দূরে থাক পরীক্ষা শুরুর দুইদিন আগ থেকে কত লাইলী-মজনুর যে ঘটি হাতে করা লাগবে তা আল্লাহ মালুম।আমি ঐ সকল লাইলী-মজনুর এমন ঘোরতর বিপদে পাশে আছি।আমি তীব্রভাবে সরকারের এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজের নিন্দা জানাচ্ছি এবং এমন জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে পুর্নবার ভাবার অনুরোধ করছি।

শোক দিবস:
আবার আর এক শ্রেণীর যুবক-যুবতী আছে যারা এই দিনটিকে বিশেষ কালো দিবস হিসাবে তথা শোক দিবস হিসাবে পালন করার দাবী তুলেছে. কয়েক বছর ধরে টিওএসসি চত্বরে ঐ বিশেষ দিনে অসংখ্য স্যাক-খাওয়া, ধরা-খাওয়া, প্রেমে ব্যার্থ যুবক-যুবতী হাজির হয় তাদের মনের গহীনে থাকা কয়লার আগুন জ্বালতে।কপালে কালো কাপড় জড়িয়ে ও কালো রঙের পোশাক পরে তাদের শোক প্রকাশ করে থাকে।এই দিন এরা কেউ কেউ গানজা(গাঁজার বর্তমান শিক্ষিত রুপ) ও মদ্যপান করে গলা ভরে গালি দিয়ে নিজের জ্বালা জুড়ায়।তারা অনেকদিন থেকে এই দিনটিকে বিশ্ব শোক দিবস হিসাবে পালন করার কথা বলে আসছে।কতৃপক্ষকে বিষয়টি বিবেচনার দাবী জানাচ্ছি।কারণ গরীবের ব্যাথা কেবল গরীবেই বোঝে।

স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলণ দিবস:
কিছু বাম ঘেঁষা ছত্র-ছাত্রী ইদানীং এই দিনটিকে স্বৈরাচার বিরোধী দিবস হিসাবে পালনের দাবী তুলেছে। এই দিনে এরশাদ চাচার বিরুদ্ধে নাকি ছাত্ররা আন্দোলণ শুরু করেছিলো। চাচা এখন মুরুব্বি অতএব তাঁকে এখন ছেড়ে দেওয়া যায়।এদের সম্পর্কে আমার বিশেষ বলার কিছু নায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন