আজ ফার্মগেট থেকে ফেরার পথে অনেক কষ্টে একটা বাসে উঠতে পারলাম। উঠে বাসের ভিতর রড ধরে এক সিটের পাশে দাঁড়িয়ে আছি। শুনতে পেলাম এক মুরুববি পিছনের আর এক মুরুব্বিকে বলছে এটা বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক,৩৫ তলা,সবচেয়ে বড় দালান।পিছনের লো্কটি জানালা দিয়ে তাকালো আর গুণে গুণে দেখতে লাগলো ।আসলে সেটি ছিল ইসলামি ব্যাংক।যে লোকটি বলছে তাকে দেখে শিক্ষিত মনে হল আমার।দাড়িতে মেহেদির রঙ করা।পরে পিছনের দিকে তাকিয়ে দেখলাম দশ পনের জন দাড়িওয়ালা মুরুব্বি লোক। আমি চুপ করে তাদের গল্প শুনতে থাকলাম। যে লোকটি এতক্ষণ শুনছিল সে তার পাশের লো্ককে বলছে, আল্লাহ আমাকে ২২ তালা পর্যন্ত উঠার তৌফিক দিয়ছে। তার সমস্ত মুখে জুড়ে গৌরব আর প্রশান্তির হাসি দেখতে পেলাম। আর পাশের লোকটিকে দেখতে পেলাম ২২ তালা পর্যন্ত না উঠতে পারার ব্যর্থতায় সমস্ত মুখ হতাশায় ভরে উঠল। তার মানব জনম বৃথা গেল মনে হয়। কৌতুহলী হয়ে ব্যর্থ লো্কটিকে জিজ্ঞাশা করলাম তারা কোথায় থেকে আসছে। বলল, সিরাজগঞ্জের উল্লা পাড়া থেকে আসছে।বুঝলাম কাকরাইল যাচ্ছে। ততক্ষণে বাস শাহবাগ এসে পৌছেছে।আমি বাস থেকে নেমে পড়লাম। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে লোকটির মলিন মুখখানি বারবার মনে পড়তে লাগলো । ইচ্ছে হচ্ছিল যায় লোকটিকে ২২তালা পর্যন্ত ঘুরিয়ে নিয়ে আসি। আজ যদি লোকটি মারা যায় তাহলে সে ২২ তলা পর্যন্ত না উঠতে পারার আক্ষেপ নিয়েই মরবে।
২৯/০৯/১০
২৯/০৯/১০
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন